বড়াল নদীর বাঁকে (হার্ডকভার)
বড়াল নদীর বাঁকে (হার্ডকভার)
৳ ২৫০   ৳ ১৮৮
২৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

মুহূর্তের জন্য দুজনের শরীরে বিদ্যুতের ঝলক বয়ে গেল। প্রাণের স্পন্দন বেড়ে গেল। অথচ দুজনেই চুপ। এ যেন অন্যরকম এক অনুভূতি তারা অনুভব করল। কিন্তু কেউ কাকে কিছু বলল না। ক্ষণিকের জন্য দুটি হৃদয় যেন বিধৌত হলো সমুদ্রের স্বচ্ছ-শুভ্র ঢেউ দ্বারা। এটা শুধু অনুভব করা যায়, মুখে বলা যায় না। 
অভি শেলির চুলগুলো নাড়ছে আর তার চোখ ও মুখের দিকে পলকহীন নেত্রে চেয়ে আছে। চোখ দুটি টানাটানা, কাজল কালো ভ্রু, সদা হাস্য টোল পড়া মুখ। 
পুকুর পাড়ের বড় একটি গাছের ডালের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো শেলির মুখের ওপর পড়েছে। গাল দুটি চিকচিক করছে। বুকের দিকে তাকাতেই। অভির শরীরে রক্তসঞ্চালন বেড়ে গেল। 
শেলি অভিমানী সুরে বলল, "এতদিন পরে আমাকে তোমার মনে পড়ল? কী দরকার ছিল আসার? একটা মেয়ের মনে ভালোবাসার বীজ বপন করলে ঠিকই, কিন্তু বীজ থেকে ফসল পেতে যেভাবে প্রয়োজনমতো পানি দিতে হয়, যত্ন নিতে হয়, মাঝে মাঝে সার দিতে হয় তার কিছুই করলে না।" 
অভি শুধু শুনে গেল। শেষে বলল, "আজ আমার মনটা ভালো নেই। অন্যদিন কথা বলি।

Title : বড়াল নদীর বাঁকে
Author : ড. মো. মুনিরুজ্জামান
Publisher : প্রান্ত প্রকাশন
Edition : 1st Published, 2025
Country : Bangladesh
Language : Bengali

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াল নদীর পাড়ে অবস্থিত জোনাইল ইউনিয়নের দ্বারিকুশী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে লেখকের জন্ম। জন্ম তারিখ: ৩ মে, ১৯৬৫ খ্রি.। পিতা মরহুম এরশাদ আলী প্রামানিক এবং মাতা আলহাজ্ব মাছুরা এরশাদ এর ৬ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে লেখক দ্বিতীয় সন্তান। তাঁর ভাইবোন সবাই চাকরিজীবী। তিনি ৩ বিষয়ে স্টার মার্কসহ নিজ ইউনিয়নের সেন্ট লুইস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১ম বিভাগে এসএসসি এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ, নাটোর হতে ১ম বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন। পরে ফিশারিজ ফ্যাকাল্টি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে অনার্স, মাস্টার্স ও ডিএফআইডির (DFID) আর্থিক সহায়তায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে থানা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলায় কর্মরত থেকে তিনি অর্জন করেছেন নানা অভিজ্ঞতা। মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে তিনি তাঁর কর্মজীবন শেষ করেন। মৎস্য অধিদপ্তরে তিনিই প্রথম মাছের রোগের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশে তিনি মাছের রোপ নিরাময়ে ভেষজ চিকিৎসা প্রয়োগের পথিকৃৎ। তিনিই প্রথম রোগাক্রান্ত থাই পাঙ্গাস থেকে Edwardsiella tarda নামক ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করেন। তিনি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ফেনী, থাকাকালে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হন এবং জেলা উন্নয়ন মেলায় "চাষির দোরগোড়ায় মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা'-এ শিরোনামে কীভাবে চাষি সহজে, স্বল্প খরচে পরামর্শ পাচ্ছে, সে বিষয়ে ইনোভেটিভআইডিয়া প্রদর্শন করায় শ্রেষ্ঠ ইনোভেটর হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ প্রাপ্ত হন। তাঁর প্রকাশনা: দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত ফুল পেপার-১২টি, প্রকাশিত পাঠ্য বই-৩টি, অন্যান্য বই-৩টি, বুকলেট-২টি, লিফলেট-৬টি, দৈনিক/সাপ্তাহিক/পাক্ষিক পত্রিকায়/স্বরণিকায় প্রকাশিত আর্টিকেল-৬টি, মৎস্য বিষয়ক নাটক-২টি, সিলেট বেতার কর্তৃক প্রচারিত নাটিকা-৪টি। তিনি সিলেট বেতারে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠানের ২ বছর নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। 'বড়াল নদীর বাঁকে" লেখকের প্রথম উপন্যাস। তবে তাঁর অনেক লেখা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]